Posts

Showing posts from 2022

পেঁয়াজ Common onion, Allium cepa

Image
সুকন্দ পেঁয়াজ মোহাম্মদ আলি বাঙালির কাছে পেঁয়াজের প্রসঙ্গ পাড়া বাতুলতা-মাত্র। কিন্তু একটা ব্যাপারে প্রশ্ন আছে, পেঁয়াজের ফুল কেউ দেখেছেন কখনো? নিশ্চয়তা দিচ্ছি, বাগানের অন্য অনেক বাহারি ফুলকে হার মানাবে এর ফুল। বিশেষ করে আমাদের দেশে কোনো একটি শীতকালীন ফুল যেভাবে রোপণ করা হয় সারে সারে, নির্দিষ্ট একটা বেডে, ফুটন্ত পেঁয়াজের বেড দেখলে সেরকম শোভা উপভোগ করা যাবে শতভাগ। বাগানে কেউ পেঁয়াজকে স্থান দিয়েছে কিনা জানা যায় না, তবে গ্রামের ক্ষেতে ফুলেল পেঁয়াজের যে সমৃদ্ধি দেখা যায় তা দুরন্ত এক ভাবের খেলা মনের মধ্যে আনবে যে-কারোর মধ্যে, আমি নিশ্চিত। নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, খুব প্রাচীনকাল থেকে পেঁয়াজ চাষ হয়ে আসছে এশিয়াতে। হিসাবটা করতে গেলে তা দাঁড়ায় ৭ হাজার বছরে। উদ্ভিদ-বিশেষজ্ঞরা তাই ধাঁধায় পড়ে যান এ উদ্ভিদের জন্মস্থান নিয়ে। তবে মধ্য এশিয়া এর মাতৃভূমি বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করে থাকেন। উৎপত্তি যেখানেই হোক, বর্তমানকালের কথা যদি ধরি, কোথায় না পাওয়া যায় পেঁয়াজ! দুনিয়ার অধিকাংশ দেশেই এর চাষ হয় খুব যত্ন-আত্তি সহকারে। কেননা এটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সুস্বাদু সবজিগুলোর অন্যতম, একই সাথে সুস্বাদু মসলারও

সাগরকন্যা সাগর-নিশিন্দা, Vitex trifolia

Image
সাগরকন্যা সাগর-নিশিন্দা  মোহাম্মদ আলি নিশিন্দার কথা সেই ছোটবেলা থেকেই জানি। গানও শুনেছি একে নিয়ে। এ যে দারুণ ঔষধি গাছ, সেও জানতাম। ছোটবেলা থেকেই একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল যে, যেসব ফলমূল-শাকসবজি তিতা স্বাদের, সেগুলোর পুষ্টিগুণ বেশি, ঔষধি গুণও বেশি। যেমন, করল্লার কথা জানি--তিতকুটে স্বাদের। কিন্তু এ সবজি এখন তো অমৃত লাগে খেতে। আমাদের নিশিন্দাও স্বাদে তিতা এবং একই সাথে ঔষধি গুণসম্পন্ন। নিশিন্দা নিয়ে ছোটবেলার কথা থেকে এখন বড়বেলায় আসি। গিয়েছিলাম কক্সবাজার ঘুরতে একবার। বর্ষায় সাগরপারের বালুতে অযত্নে থাকা অবস্থায় কয়েকটি নিশিন্দাকে এক জায়গায় কলোনির মত একত্রে থাকতে দেখে বুঝে গিয়েছিলাম যে, এটা নিশিন্দাই হবে। আরেকবার গিয়েছিলাম সেন্টমার্টিন দ্বীপে। সেখানে ছত্রে ছত্রে নিশিন্দাকে দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। শীতের শেষে দেখি সাগরের ঠিক পাড়েই ওদের ঘনবসতি, ইতস্তত ছড়ানো ডালপালায় কেমন একটা শ্রীহীন অবস্থা। অধিকাংশের শরীরজুড়ে ফলের মেলা, ফুল ছিল কয়েকটি গাছে। একই অভিযানে কেয়া, সমুদ্রজবা, সমুদ্রকলমি ও পাইনা ফুলের সাথে ছেঁড়াদ্বীপে আরো ঘন অবস্থায় এদের দেখেছি একটা জায়গায় বেশ কায়দা করে জেঁকে বসে

আঁতমোড়া, Helicteres isora

Image
আগাগোড়া রহস্যে মোড়া আঁতমোড়া মোহাম্মদ আলি শংকরযাঁতা, শংকরযাতা, শংকরজাতা--কোনটি সঠিক? ভাবছেন আঁতমোড়া লিখতে বসে অন্য গাছের পাঁচালি কেন? আসলে প্রসঙ্গান্তরে যাওয়া হয়নি, একটা জট খোলার জন্যই এই প্রাসঙ্গিকতা। আমাদের উদ্ভিদ পরিচিতিমূলক সাহিত্যের প্রায় পুরোটাই ইংরেজিতে রচনা, এটা আমরা বেশ ভালো করেই জানি। উপমহাদেশ তথা এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য এলাকার উদ্ভিদগুরু ইংরেজ ড্যালটন হুকারসহ আরো অনেকে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সরকারের ছত্রছায়ায় তাদের মাতৃভাষা ইংরেজিতে তা রচনা করবেন, সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সে ধারা থেকেই এখনো উপমহাদেশীয় গাছগাছড়াগুলোর ইংরেজি নাম আমরা পাচ্ছি। যে গাছগুলোর স্থানীয় নাম আগে থেকেই জনপ্রিয় তারা সেগুলো বসিয়েছেন ওই ইংরেজি হরফেই। আবার এমনও অনেক দেশজ গাছ রয়েছে যেগুলোর স্থানীয় নাম পাওয়া যায়নি, ইংরেজি নামেই এখন পর্যন্ত প্রচলিত। যেমন, দুটি গাছের কথা বলি : একটি লতা, নাম Nepal Trumpet Vine (Beaumontia grandiflora) অন্যটি গুল্মলতা, নাম Ladies Umbrella বা Chinese hat plant (Holmskioldia sanguinea)। উদ্ভিদগুরু দ্বিজেন শর্মা তাঁর শৈশবের বন (মৌলভীবাজারের বড়লেখা) থেকে তুলে এনে ঢাকার রমনা পার্কে

কেশরদাম, Ludwiga ascendens

Image
শৈশব-দাম দিয়ে কেনা কেশরদাম মোহাম্মদ আলি কেশরদামের ফুল সুন্দর। পাতা সুন্দর। জলীয় পরিবেশে আলো করে পানি কিংবা কাদামাটির ওপর এর ছড়িয়ে থাকাটা আরো সুন্দর।  একটু কুয়াশা, একটু বিভ্রান্তি আছে কেশরদামের জন্মভূমি নিয়ে। কোথাও বলা হচ্ছে এর জন্ম দক্ষিণ এশিয়ার ভেজা পরিবেশে, আবার কোথাও বলা হচ্ছে হয়তো দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এর জন্মভূমি। আসলে এ বৈজ্ঞানিক বিতর্ক; অবসান হলে ভালো--যে দেশের হবে সে দেশ একে নিয়ে গর্ব করতেই পারে। প্রথমে বলার চেষ্টা করেছি রূপে সে সর্বাঙ্গসুন্দর, গুণে কী, সে পরের কথা। সব তর্ক ছাড়িয়ে স্বজ্ঞা বলে, এ আমাদেরই রোদনভেজা বাংলার, রূপসী সবুজ বাংলার। অবশ্য স্বজ্ঞা তো অনেক সময় নিজের তৈরি অনুমানমাত্র। ঢোলকলমিকেও আমাদের মনে হয় গ্রামবাংলার একান্ত গাছ; তা তো নয়, এ তো মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার গাছ। তথ্যটি শোনামাত্র অনেককে হায়-হায় করতেও দেখেছি। উৎপত্তির এ জট-খোলা খেলার অবসান ভবিষ্যতে হবে, এ আাশাবাণী রেখে এখন চলুক কেশরদামকীর্তন। কেশরদাম নামটা কেমন একটা রহস্যময় যেন। অজ্ঞতা রহস্যের একটা অন্যতম বড় বিষয়, এ ফাঁকে বলে রাখি। ঢাকাশহরে বড় হওয়া এই আমি গ্রামবাংলার সহজপ্রাপ্য গাছটির সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাব

শিলকড়ই, Albizia procera

Image
শিলকড়ই : বাংলাদেশের অন্যতম নয়নসুখ বৃক্ষ মোহাম্মদ আলি কত রকমের শিরীষ আর কড়ই যে আছে আমাদের দেশে! এই যে সারা দেশে ছড়িয়ে যাওয়া প্রতাপশালী রেইনট্রি, যা লোকমুখে রেন্ডিকড়ই, অনেকেই একে জানে কড়ই গাছ হিসেবে। অনেকে আবার গগন শিরীষকেও কড়ই বলে মনে করেন। এসব কড়ই বা শিরীষের কাছে আমাদের স্বদেশি কড়ই বা শিরীষ যেন অপাঙক্তেয়; অনেকেই আমরা ‘প্রাঙ্গণে মোর শিরীষ শাখা’র শিরীষ বলতে বুঝে থাকি এই রেইনট্রিকে (Samanea saman)। আসলে ফ্যাবাসি (Fabaceae) পরিবার, আরো স্পষ্ট করে বললে অ্যালবিজিয়া (Albizia) গণের গাছগুলোর পাতা, ফুল, ফল, দেহগঠন কিছুটা কাছাকাছি হওয়াতে এ সাধারণ বিভ্রান্তি। বলে রাখা ভালো, শিরীষের দ্বিপদী নাম Albizzia lebbeck, মাঝারি থেকে বড় আকারের গাছ। এর ফুল যখন ফোটে তখন ‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’ অবস্থা তৈরি হতে বাধ্য--এতই যার ফুলের গন্ধ। এ তো গেল শিরীষ; প্রশ্ন আসে, আসল কড়ই তাহলে কোনটি? সত্যিকার অর্থে, আলোচ্য এ শিলকড়ই-ই হচ্ছে আমাদের আসল কড়ই। নামবিভ্রান্তির কারণে একে বলতে হচ্ছে শিলকড়ই, দেশি কড়ই, সাদা শিরীষ, সাদা কড়ই, লোহা শিরীষ, জাতকড়ই, ঝুনঝুনা কড়ই, ইত্যাদি। আ সবাবপত্র তৈরি করতে গিয়ে বড়দের

সুপারি, Areca catechu

Image
সুপারি : ক্ষীণদেহী সুন্দর জীবন কাঁচা সুপারি খেলে মাথা ঘোরে। আর এই গল্পটি শুনলে যে-কারোরই তা দমকে দমকে ঘুরবে। তো শোনা যাক সেটি। এক কৃষক ভাবলেন পান তো খাই-ই, তো সেটা কিনে খেতে হবে কেন, পানগাছ লাগিয়ে দিলেই হয়। বুদ্ধিমান কৃষক তার বাড়ির সামনের ফলবান সুপারি গাছের গোড়ায় পানলতা লাগিয়ে দিলেন। কয়েকদিনের মধ্যে লতা বড়ও হল। এদিকে এক পথিক ক্লান্ত হয়ে ও বাড়ির পাশে থামলেন বিশ্রাম নিতে। সুপারি গাছে পানলতা দেখে তার পান খাওয়ার নেশা দারুণভাবে চেপে বসল। কয়েকটা সুপারি পেড়ে পানপাতায় হাত দিতে গিয়ে ভিমড়ি খেলেন তিনি। অবাক হয়ে দেখেন, আরে! পানে তো চূন লেগে আছে! অতিথি-সৎকারের এমন অপূর্ব-অশ্রুত কায়দা দেখে ঐ বাড়ির লোকজনকে অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ দিতে দিতে, মুখে পানসুপারিচূন পুরে, পথে যেতে যেতে এক মহৎ ছড়ার আবিষ্কার করে ফেললেন : একই গাছে পান সুপারি, একই গাছে চুন, এদেশের মাটির ভাই কী সুন্দর গুণ!  আসলে গল্পটি একটা ধাঁধাকে কেন্দ্র করে রচিত। প্রশ্ন হল, পান সুপারি নাহয় বোঝা গেল সে কৃষকের লাগানো, তৃতীয় উপাদানটা তাহলে কোত্থেকে হাজির হল? এর উত্তর হল, পাখির বিষ্ঠা।  সুপারি নিয়ে আমাদের লোকসাহিত্যে অনেক কিসসাকাহিনি, লোকছড়া, প্রব

শাপলা, Nymphaea pubescence

Image
বাঙালিমণি শাপলা শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। বাঙালভূমির গৌরবের অংশীদার করে জাতীয় প্রতীকেও তাকে সম্মানজনক অবস্থান দেয়া হয়েছে। লতানো বীরুৎটি আমাদের পানিপ্রধান ভূমির একান্ত স্মারক। দেশের আনাচে-কানাচের মাঠঘাট, ফসলি জমি, পতিত জমি, খালবিল, পুকুর, খানাখন্দক, যেখানেই পানি স্থির হয়ে থাকে, সেই জমাট ও অগভীর জলাশয়ে শাপলার রাজত্ব চলে। দেশের জলজ উদ্ভিদের মধ্যে সে সুন্দরতমের একটি--শুধু ফুল নয়, নয় তার কুঁড়ির বাহার, দেহবল্লরীও তার প্রায় অতুলনীয়। আবার এর পাতার গাঢ় সবজেটে সৌন্দর্যে আমরা যে শুধু বিভোর থাকি তা কিন্তু নয়, এর বোঁটার দীঘল, তুলতুলে ও গোলগাল মনোহরা সর্পিল বাহার, ফল ও ডাঁটার ক্ষুদ্বৃত্তির মাহাত্ম্য--সব মিলিয়ে একান্তই বাঙালিমণি হিসেবে সে ধরা দেয় আমাদের কাছে।  এ তো গেল শাপলাপ্রশস্তি। এর পর কিছু অপ্রিয় কথা না বললেই নয়। একে নিয়ে রয়েছে অনেক অনেক বিভ্রান্তি। বিভিন্ন রঙের শাপলা যে আমরা একই জলায় সচরাচর দেখি, সবার নামই কি শাপলা? আর শালুকই-বা কোনটি? বাংলাভাষায় লেখকদের মধ্যে এ বিভ্রান্তি পুরানো, কয়েকদিন আগপর্যন্ত বৈজ্ঞানিক মহলও সে বিভ্রান্তি থেকে বাদ ছিল না। এ বিভ্রান্তির মূলে রয়েছে এর ফুলের রঙ, বলা ভালো ফুলের

করচ, Dalbergia reniformis

Image
অকূল সায়রের করচ মোহাম্মদ আলি করচ নিয়ে আমাদের বিভ্রান্তির শেষ নেই। এ বিভ্রান্তির মূলে রয়েছে আরেকটি পানিপছন্দ বৃক্ষ, সেটি করঞ্জা। তবে সে-কথা পরে।  আমাদের হাওর এলাকার একান্তই স্থানীয় গাছ করচ। জলজ বৃক্ষ কথাটা অদ্ভুত শোনালেও এতে অত্যুক্তি নেই। হাওরের অথৈ পানিতে অনেকেই গাছটিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খুব অবাক হন। আসলে সুদীর্ঘকালের জীবনসংগ্রামে পুরো ভেজা মৌসুম জুড়ে, দীর্ঘ সময়--বছরের প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভরপুর পানিতে টিকে থাকার জন্য অভিযোজিত হতে হয়েছে তাকে। ঠিক একই অভিযোজনক্ষমতা রয়েছে আমাদের দেশের আরেক জলজ বৃক্ষ হিজলের। করচের আদর্শ সহচর সে। এ প্রসঙ্গে আরেকটি পানিপ্রেমী বৃক্ষের কথা না বললেই নয়, সে পানিজমা; আরেক নাম পানিবট; বিয়াস বলেও জানে লোকে। তবে এ গাছটি ঠিক হাওরের নয়, বর্ষা মৌসুমে আমাদের দেশের কয়েকটি জেলায় কেমন একটা শ্রীহীন অবস্থায় খাল, বিল ও নদীর ধারে অর্ধ জলমগ্ন অবস্থায় একে দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে আমরা জানি, ‘সাগর’ শব্দটি লোকমুখে বিবর্তিত হতে হতে ‘সায়র’ রূপ ধরে ‘হাওর’-এ রূপান্তরিত হয়েছে। তার মানে, স্থানীয় লোকের কাছে তাদের হাওরই সাগর। বর্ষামৌসুমে দেশের পূর্ব-উত্তরাঞ্চলের এ জল

করপুলা, Sarcolobus carinatus

Image
করপুলা, Sarcolobus carinatus , Family: Asclepiadaceae. স্থানীয় নাম : বাওলিলতা, বাওনিলতা, বান্দালিলতা। অনন্তমূল কিংবা অপরাজিতার মতো পেঁচিয়ে, আষ্টেপৃষ্ঠে বাড়ে সুন্দরপত্রী, ক্ষীণতনু লতাটি। আমাদের দেশের লোকেরা বলে করপুলা, পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা বাওলি-লতা। দ্বিপদী নাম Sarcolobus carinatus । দেশের দক্ষিণের সাগরপারে দুধকষে ভরা লতাটির বসতি। সুন্দরবনের উভয় অংশে একে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া রয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ম্যানগ্রোভ বনে-উপবনে। অথচ আমাদের উদ্ভিদ-রসসাহিত্য তো বটেই দুয়েকটা তথ্যভাণ্ডার ছাড়া পুরোপুরি উপেক্ষিত। আশ্রয়দাতার পাতার মতোই অনেকটা এর পাতা। তাই খুব সহজে, হঠাৎদৃষ্টিতে একে আলাদা করে উপভোগ করা যায় না। আশ্রয়দাতা আমাদের ভুবনমোহিনী, চিত্রবিচিত্র ম্যানগ্রোভ-উদ্ভিদ গেওয়া, স্থানীয়রা বলে গাওয়া, ইংরেজিতে Blind your eye ( Excoecaria agallocha )। পাতা গেওয়ার পাতার চাইতে প্রায় আধাআধি ছোট, রঙ একইরকম। অনুমেয়, লতাটির Mother plant এটি। যতবারই এ বল্লীকে দেখেছি প্রতিবারই কেওড়া-বনের ঘনঘটায় থাকা গেওয়া-ঝাড়ের মধ্যে ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকতে দেখেছি। জীবের মনোহরা এ চাতুরী মনে দারুণ এক দোলা দিয়েছিল সে অভিযানের দিনগুলি