রসুন, Garlic, Allium sativum
কন্দ কন্দকুঁড়ি ও বীজরহস্যে ঘেরা রসুন মোহাম্মদ আলি এ মধুপৃথিবীতে আছে কতশত রঙ, গন্ধ, অনুভূতি, কত আকারপ্রকার, চরিত্র, জাতি—এককথায় বিচিত্রসুন্দরের ভাণ্ড যেন তা! আমাদের অতিপরিচিত রসুন সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে সে-কথাই আরেকবার মনে হল। বংশরক্ষার তাগিদে এমনই অদ্ভুত কলাকৌশল সে বেছে নিয়েছে, তা জানলে সত্যিই বিস্ময় জন্ম নেয় আমাদের মনে। কীভাবে কী প্রক্রিয়ায় সে এ কাজটি করে, তা জানব আমরা কিছুক্ষণ পরেই। তার আগে চলুক এর ইতিহাসকীর্তন। রসুন নিয়ে প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যে কম গল্প ফাঁদা হয়নি। এ সবই হয়েছে রসুনের ঝাঁঝালো ও তেজী স্বভাবের কারণে। আমরা যাকে রসুন বলি, যা কিনা মাটির নিচের স্ফীত অংশ তা কিন্তু কাণ্ডের রূপান্তরিত অবয়ব। যেমন, রান্নায় বহুলব্যবহৃত সবজি পেঁয়াজ, হলুদ, এমনকি আদার কন্দও রূপান্তরিত কাণ্ড। ভারতীয় পুরাণের একটা গল্প এরকম : ইন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী শচী নিঃসন্তান। বংশের ধারা রক্ষা করার জন্য এক ঋষির পরামর্শে স্বর্গ থেকে অমৃত নিয়ে শচীকে দিলেন ইন্দ্র। অমৃতটি শচী খেতে গেলে তার ঢেঁকুর আসে আর পৃথিবীতে তার কিছু অংশ পড়ে যায়। মাটির সংস্পর্শে সেই অমৃত হয়ে যায় রসুন। স্বর্গের বস্তু মাটিতে পড়লে পৃথিবী